Speaker Dr. Shirin Sharmin Choudhury asked the lawyer to use PIL for enforcement of rights of the citizen
’’হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)’’ কর্তৃক আয়োজিত সেমিনারে জনস্বার্থ মামলার গুরুত্ব অপরিসীম –বলেছেন, মাননীয় স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধূরী।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আজ সকাল ১০.৩০ টায় এইচআরপিবি প্রেসিডেন্ট এডভোকেট মনজিল মোরসেদ এর সভাপতিত্বে সুপ্রীম কোর্ট বার অডিটেরিয়ামে Human Rights And Peace For Banbladesh (HRPB) কর্তৃক নাগরিকের অধিকার সুরায় জনস্বার্থ মামলার ভূমিকা ও গুরুত্ব” শীর্ষক এক সেমিনারে প্রাধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধূরী।
অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত জনস্বার্থ মামলার আইনজীবি এম.সি. মেহতা (ভারত) । জনস্বার্থ মামলার গুরুত্বের উপরে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, বিচারপতি এ.এইচ.এম. শামসুদ্দিন চৌধূরী, সিনিয়র এ্যাড. আবদুল বাসেত মজুমদার , আধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ড. আবূ নাসের খান, এইচআরপিবি প্রেসিডেন্ট এডভোকেট মনজিল মোরসেদ, সেক্রেটারী এড. আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী এবং এড. মাহবুবুল ইসলাম।
মাননীয় স্পীকার তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশে জনস্বার্থ মামলার বিকাশ দিন দিন যে ভাবে হচেছ, তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। তিনি আহ্বান জানান জনস্বার্থের মামলা শুধু পরিবেশ রায় নয় মানুষের মৌলিক অধিকার ও মানবধিকার রার্থে এ হাতিয়ার ব্যবহার করা প্রয়োজন। তিনি এইচআরপিবির বিভিন্ন কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন এবং জনকল্যাণে একই ভাবে এগিয়ে আসার জন্য অন্যান্য আইনজীবীদের প্রতি আহবান জানান।
অতিথী বক্তা এম.সি. মেহতা বেেলন, ভারতবর্ষে জনস্বার্থ মামলার শুরুতে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা অত্যন্ত কঠিন ছিল। তারপরও বার বার আদালতের শরণাপন্ন হওয়ায় বিচারকগণ তাদের হাত সম্প্রসারিত করেছে এবং জনস্বার্থ মামলার মাধ্যমেই তাজমহল ও গঙ্গা রা সহ পরিবেশ বিধবংসী অনেক কর্মকান্ড রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
বিচারপতি এ.এইচ.এম শামসুদ্দিন চৌধূবী বলেন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অন্যতম হাতিয়ার হলো জনস্বার্থের মামলা। তিনি আরো বলেন, ভূমিদস্যুরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে এমন ভাবে পরিবেশ বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনা করে, যেটা আদালতের হস্তপে ছাড়া বন্ধ করা সম্ভব নয়।
সুপ্রীম কোর্ট বারের প্রাক্তন সভাপতি আবদুল বাসেত মজুমদার বলেন, প্রথম প্রথম এ ধরনেরে জনস্বার্থের মামলাকে সমলোচনা করা হলেও বর্তমানে এর বিভিন্ন দিক বিশ্লেষন করলে দেখা যায়, ঐতিহাসিক ও গুবুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখেছে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ। কারণ কোন আর্থিক অনুদান ছাড়া নি:স্বার্থ ভাবে কাজ করছে এইচআরপিবি।
অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন জনস্বার্থের মামলা প্রয়োজনের তুলনায় এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত নয় । ”পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন ” এর চেয়ারম্যান ড. আবু নাসের খান বলেন এইচআরপিবি আদালতে মামলা করার ফলে আমাদের পরিবেশ রার আন্দোলন সহজতর হয়েছে।
এড. মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, জন স্বার্থের মামলার ক্ষেত্রে ভারতে যেমন এম.সি. মেহতা অনন্য ভূমিকা রেখেছে, বাংলাদেশ ও তেমন্ এইচআরপিবি প্রেসিডেন্ট এডভোকেট মনজিল মোরসেদ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
এড. আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, আইনজীবীদের সহযোগিতার ছাড়া সংগঠনের একার পে জনস্বার্থের মামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব ছিলনা।
সমাপনী বক্তব্যে এইচআরপিবির প্রেসিডিন্ট এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন – বিচারকদের জনস্বার্থ মামলায় আগ্রহ ও ভূমিকার কারণে এইচআরপিবি সংগঠনের পে বড় বড় পদপে গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো বলেন – সংবিধানের সর্বশেষ সংশোধনীতে পরিবেশ রার বিষয় অর্ন্তভূক্ত করায় জনস্বার্থের মামলার বিকাশ সম্ভব হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে জনস্বোর্থের মামলায় বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য এম.সি মেহতাকে ’’এইচআরপিবি এ্যাওয়ার্ড ২০১৪ ’’ প্রদান করা হয়। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মনজিল মোরসেদ এম.সি. মেহতার হাতে এ্যাওয়ার্ড তুলে দেন এবং তাকে এইচআরপিবি ক্রেস্টও প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী মাননীয় স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীকে ক্রেস্ট প্রদান করেন সংগঠনের সেক্রেটারী এড. আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে সুপ্রীম কোর্টের মাননীয় বিচারপতিগন, বিজ্ঞ আই্নজীবীবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথীবৃন্দ সহ পাঁচ শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।
বার্তা প্রেরক,
এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী
সেক্রটারী, এইচআরপিবি।
তারিখ – ১৯/০৪/২০১৪