সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মহাসড়কের পাশে স্থাপিত অনুমতি বিহীন সকল স্থাপনা অপসারন এবং মহাসড়কের পাশ
বঙ্গবন্ধুর মাজার থেকে ফেরার পথে এমপি মোকতাদির চৌধুরির গাড়ীবহরের দূর্ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যুর সংবাদ ৫/০২/১১ তারিখে জনকন্ঠে প্রকাশিত হলে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্য্যকরি রোড ম্যানেজমেন্ট ও মহাসড়কের যান চলাচলে আইনের বাস্তবায়নের নির্দেশনা চেয়ে ’’হিউম্যান রাইটস এন্ড পীস ফর বাংলাদেশ’’ (ঐজচই) জনস্বার্থে একটি রৗট মামলা দায়ের করলে ১৩/২/১১ তারিখে হাইকোর্ট ’’সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্য্যকরি ব্যবস্থা নিতে এবং মহাসড়ক এর পাশ থেকে স্থাপনা অপসারনে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানাতে রুল জারি করেন। আদালত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে একটি কমিটি গঠন করে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ব্যবস্থ্া সম্পর্কে গাইড লাইন তৈরি করে আদালতে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন। কমিটি ২৮ টি পদক্ষেপ গ্রহনের সুপারিশ করে এবং সরকার পক্ষ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ বিচারপতি জিনাত আরা এবং বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হক এর আদালত রুল এ্যাবসলিউড করে রায় দেন
শুনানিতে বাদী পক্ষের কৌশুলি এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, মহাসড়কে যান চলাচল ও ব্যবস্থাপনায় আইন থাকলেও তা কার্য্যকরি না হওয়ায় সবসময় দুর্ঘটনা ঘটছে এবং প্রতিনিয়ত মানুষ মারা যাচ্ছে। এমনকি মহাসড়কের পাশে দোকান স্থাপন, ধান শুকান, গরু চলাচল বিভিন্ন ভাবে মহাসড়কের ব্যবস্থাপনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। যদিও মহাসড়ক বিধি অনুসারে মহাসড়কের ১০ মিঃ এর মধ্যে কোন স্থাপনা থাকা নিষিদ্ব তা সত্বেও এগুলো বন্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এসব কারনে দুর্ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আদালত রায় দিয়ে সরকারকে নি¤েœাক্ত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলেছেন;- ।
ঢাকা থেকে জেলা পর্য্যায়ে সংযোগকৃত মহাসড়কে কার্য্যকরি ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা গ্রহন ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মহাসড়কের পাশের অনুমতিবিহীন স্থাপনা অপসারন এর নির্দেশ। মহাসড়ক (নিরাপত্তা, সংরক্ষন,চলাচল নিয়ন্ত্রন) বিধিমালা ২০০১ এর ৮ বিধিতে স্থাপনা তৈরীর অনুমতি প্রদান সংক্রান্ত সরকারের ক্ষমতা বাতিলে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে আদালতের নির্দেশে গঠিত কমিটির সুপারিশ সমূহ কার্যকরি করতে নির্দেশ। ড্রাইভারদের নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এস এস সি নির্ধারন করা ও ৫ বছর পর তা কার্য্যকরি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনে সরকারকে নির্দেশ। মহাসড়কে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে ড্রাইভারদের ৫ বসরের অভিজ্ঞতা নির্ধারন করতে ব্যবস্থা গ্রহন করা।
মহাসড়কে রোড ডিভাইডার তৈরী, পথচারী চলাচলে প্রয়োজনীয় স্থানে আন্ডারপাস, স্কুল সিলেবাসে ট্রাফিক রুলস এর বিষয় অন্তর্ভুক্ত, বিভিন্ন মিডিয়ায় ট্রাফিক রুলস সংক্রান্ত বিধান গুলি প্রচারে ব্যবস্থা, ব্লাইন্ড কর্নার সোজা করার ব্যবস্থা গ্রহন, সহ দরখাস্তে বর্নিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। Motor vehicles আইনে অপরাধের সাজা ও জরিমানা বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সরকারকে নির্দেশ।
বাদীরা হলেন ঐজচই এর পক্ষে আসাদ্দুজ্জামান সিদ্দিকী ও এখলাছ উদ্দিন ভুইয়া। বিবাদীরা হলেন স্ব-রাষ্ট সচিব, যোগাযোগ সচিব, অর্থ সচিব, ওএচ, উওএ ঐরমযধিু, ঔড়রহঃ ঈড়সসরংংরড়হবৎ, ঞৎধভভরপ, ঝচ, উযধশধ, নারায়নগজ্ঞ ,সহ মোট ১১ জন ।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ । সরকার পক্ষে ছিলেন ডিএজি রাশেদ জাহাংগির ও এএজি টিটুস হিল্লোল রেমা।
বার্তা প্রেরক-
HRPB ডেস্ক।