১৩০ বছর পুরান লাবসা মসজিদ পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণের নির্দেশ
১৩০ বছর পুরান লাবসা মসজিদ পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণের নির্দেশ
সাতক্ষীরার ১৩০ বছর পুরান লাবসা মসজিদ ভেঙ্গে পাশে আর একটি স্থাপনার সংবাদ মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে ২০১১ সালে একটি রীট পিটিশন দায়ের করলে ১২.১২.২০১১ তারিখে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থিতিবস্থার নির্দেশ দেন। স্থানীয় একটি মসজিদ কমিটি উক্ত পুরাকীর্তির পার্শবর্তি স্থানে নির্মাণ কাজের উদ্যোগ নিলে পুরাকীর্তি সংরক্ষণ আইন কার্যকরি করতে রীটটি করা হয়।
আজ শুনানী শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন এবং বিচারপতি মোঃ আতাউর রহমান এর আদালত রুল নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন এবং তালিকাভুক্ত লাবসা মসজিদ পুরাকীর্তি হিসাবে সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বিবাদীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত অপর এক নির্দেশে পার্শবর্তি জায়গায় মসজিদ কমিটি যে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে সে জায়গায় পুরাকীর্তি মসজিদ এর পাশে অন্য একটি নতুন স্থাপনা তৈরী করতে চাইলে DG আর্কিওলজি এর অনুমতি নিয়ে করতে পারবে তবে নিকটবর্তি স্থানে কোন স্থাপনা তৈরীতে প্রস্তাবিত ১০০ ফুটের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।
শুনানীতে বাদী পক্ষের কৌসুলি এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন যে, ১৯৬৮ সনের পুরাকীর্তি আইনের বিধান অনুসারে পার্শবর্তি স্থানে কোন স্থাপনা তৈরীতে কতিপয় বাধা নিষেধ আছে। প্রথমত এমনভাবে নির্মাণ কাজ করতে হবে যাতে পুরাকীর্তির সৌন্দর্য হানি না হয়। এছাড়া লালবাগ কেল্লা ও মহাস্থানগড় এর পাশে এরকম নির্মাণ কাজ সুপ্রীম কোর্ট আইনের ব্যত্যয় হওয়ায় অনুমোদন করেন নি। তিনি আরও বলেন লাবসা মসজিদ তালিকাভুক্ত পুরাকীর্তি তার পাশে যেকোন স্থাপনা নির্মাণে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।
বাদী হলেন ডঃ মাহমুদা খাতুন। বিবাদীরা হলেন সংস্কৃতি সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ওয়াকফ প্রশাসক,DG আর্কিওলজি, DC ও সদর OC সাতক্ষীরা এবং মসজিদ কমিটির সেμেটারী।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ তার সাথে ছিলেন এড. আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী, রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মন্ডল। বিবাদী পক্ষে ছিলেন শেখ সাইফুজ্জামান।
বার্তা প্রেরক
HRPB ডেস্ক
এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
তারিখঃ ০২.০৪.২০১৭