HC declared illegal and void the Section 41(1) of Govt Servant Law
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
সরকারি চাকুরি আইনের ৪১(১) ধারা বে—আইনি ও সংবিধান পরিপন্থি বলে বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সরকারি কর্মচারি আইন ২০১৮ এর ৪১(১) ধারায় সরকারি কর্মচারিদেংর অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার করা যাবে না মর্মে প্রনীত আইন সংসদে ২৬.০৯.২০১৯ তারিখে পাস করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। উক্ত আইনকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে HRPB একটি রীট পিটিশন দায়ের করলে ২১.১০.২০১৯ তারিখ আদালত রুল জারি করে সরকারি চাকুরি আইন ২০১৮ এর ৪১(১) ধারাকে কেন সংবিধানের আর্টিকেল ২৭, ২৬ ও ৩১ এর মৌলিক অধিকার পরিপন্থি হওয়ায় বাতিল ও সংবিধান পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারি করেন। রুল শুনানী শেষে বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দ এর আদালত রুল এ্যাবসলিউড করে রায় দেন এবং উক্ত সরকারি চাকুরী আইনের ৪১(১) ধারাকে মৌলিক অধিকার ও সংবিধান পরিপন্থি বলে বাতিল ঘোষণা করেন।
শুনানীতে বাদী পক্ষের কৌশুলি সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন যে, সরকারি কর্মচারীরা সাধারণ নাগরিকদের মত আইনের দৃষ্টিতে সম অধিকার প্রাপ্ত হওয়ার নির্দেশনা সংবিধানে রয়েছে কিন্তু সংসদ তাদেরকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে আইন করে গ্রেফতারের পূর্বে সরকারের অনুমতি নেয়ার বিধান রয়েছে, যা বৈষম্যমূলক। তিনি আরও বলেন একই ধরনের সুবিধা দিয়ে ইতোপূর্বে সংসদ আইন পাস করেছিল যা HRPB চ্যালেঞ্জ করলে হাইকোর্ট বাতিল করে দেন। উক্ত রায়কে অকার্যকর করার জন্য পুনরায় সরকারি চাকুরি আইন ২০১৮ এর ৪১(১) ধারা পাস করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সংবিধানের আর্টিকেল ৯৪ অনুসারে বিচারকরা স্বাধীনভাবে বিচার কার্য পরিচালনা করবেন কিন্তু এই আইন অনুসারে কোন মামলায় চার্জশীটের আগে সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যাপারে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করা সম্ভব হবে না যা স্বাধীন বিচারের উপর হস্তক্ষেপ।
দুদকের পক্ষে কৌশুলি সিনিয়র এডভোকেট খোরশেদ আলম খান বলেন, আইনের ৪১(১) ধারা স্বাধীন দুনীর্তি দমন কমিশন আইনের স্বাধীনতাকে খর্ব করে, এ আইন সংবিধানের মৌলিক অধিকার পরিপন্থি। তিনি আরও বলেন, এই আইন দুদক আইনের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করবে, আইনটি ম্যালাফাইডি উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
DAG অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুরক্ষা দেয়ার জন্যই ৪১(১) ধারা প্রণয়ন করেছেন। রীট পিটিশনার তাতে সংক্ষুব্দ হয়নি ফলে রুলটি খারিজযোগ্য।
আদালত রায়ে বলেন, সংবিধানের আর্টিকেল ২৬, ২৭ ও ৩১ এ নির্দেশনা রয়েছে সকল ক্ষেত্রেই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, আইনের দৃষ্টিতে সকলে সমান কিন্তু ৪১(১) ধারায় নির্দিস্ট একটি সেকশনকে সুরক্ষা দেয়া হয়। এমন আইন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। সংবিধানে বলা আছে মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি যে কোন আইন বাতিলযোগ্য হবে। আদালত আরও বলেন, দুদক আইনে ৩২ক ধারায় এমন সুরক্ষা দেয়া হলেও আদালত তা বাতিল করে এবং সরকার পক্ষ সেই রায়ের বিরুদ্ধে কোন আপীল করে করেনি। সুতরাং, একই বিষয়ে আবারও আইন করার কোন সুযোগ নেই।
HRPB পক্ষে রীট পিটিশনার হলেন, এডভোকেট মোঃ ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, এডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং এডভোকেট মাহবুবুল ইসলাম। বিবাদীরা হলেন, ক্যাবিনেট সচিব, রাষ্ট্রপতি সচিব, প্রধানমন্ত্রী অফিসের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, আইন সচিব, জাতীয় সংসদ সবিচালয় সচিব, জাতীয় সংসদের স্পীকার এবং দুনীর্তি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান।
বাদী পক্ষে শুনানী করেন সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন এডভোকেট রিপন বাড়ৈ এবং এডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র এডভোকেট খোরশেদ আলম খান, সরকারের পক্ষে ছিলেন DAG অরবিন্দ কুমার রায়।
বার্তা প্রেরক-
মনজিল মোরসেদ
সিনিয়র এডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
মোবাইল: ০১৭১১—৪০৪৫০৬