আদালতের নির্দেশ অনুসারে নির্দিষ্ট সময় ট্যানারি অপসারন না করায় ১০ ট্যানারি মালিকের বিরুদ্বে আদ
হাজারীবাগ থেকে পরিবেশ রক্ষার স¦ার্থে ট্যানারিগুলো অপসারনের নির্দেশ দিয়ে ২০০১ সালে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহনে পদক্ষেপ না নেয়া এবং রায় বাস্তবায়নে প্রতিবন্দকতার জন্য হাজারিবাগের ১০ ট্যানারি মালিকের বিরুদ্ধে আজ আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাই কোর্ট।
আজ শুনানী শেষে বিচারপতি মোঃ আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি জাফর আহম্মেদ এর আদালত এ রুল জারি করে কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অবিযোগ আনয়ন করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন এবং ২ সপ্তাহের মধ্য জবাব দিতে বলা হয়েছে। যাদের প্রতি রুল জারি হয়েছে তারা হলেন (১) রানা লেদার ইন্ডাঃ এর গউ আরফিন সামছুল আলামিন (২) ভুলেট এন্টারপ্রাইজ এর প্রপাইটর সায়েদুল হক মাষ্টার (৩) পুবালি ট্যানারির প্রপাইটর মাহাবুবুর রহমান (৪) রুমি লেদার ইন্ডাট্রিজ এর গউ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ প্রধান (৫) সালাম ট্যানারির প্রপাইটর আব্দুস সালাম (৬) করিম লেদার এর প্রপাইটর রেজাউল করিম আনসারি (৭) মহিন ট্যানারির প্রপাইটর ওয়াদুদ মিয়া (৮) নযিপুর ট্যানারির প্রপাইটর আব্দুল ওয়াহাব (৯) এসিয়া ট্যানারির প্রপাইটর মোঃ মফিজ (১০) প্যারামাউন্ড ট্যানারির গউ আকরাম হোসেন। শুনানিতে বাদী পক্ষের কৌশুলি এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন যে, পরিবেশ রক্ষায় ও বুড়িগংঙ্গার দুষন প্রতিরোধে হাজারিবাগের ট্যানারি অপসারন করার নির্দেশ দেয়া হলেও কয়েক বছরেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। সাভারে সরকারের ৬০০ কোটি টাকা খরচে ব্যাবসায়িদের জন্য কেন্দীয় শোধনাগার তৈরি করে দিলেও এখনও হাজারিবাগের ট্যানারি থেকে পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। শিল্প সচিব মোশাররফ হোসেন ভুইয়াকে আদালত অবমাননার মামলায় আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দেয়া হলে তিনি উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দাখিল করে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেন। যেখানে উক্ত ১০জনের ব্যাপারে উল্লেখকরা হয় যে, তারা ট্যানারি অপসারন করছে না।
এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন এর মাধ্যমে তারা আদালতের রায় বাস্তবায়নে প্রতিবন্দকতা সৃষ্টি করছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে রুল জারির আবেদনকরেন। বাদী পক্ষে শুনানী করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ । পিটিশনার হলেন এ্যাড আসাদ্দুজ্জামান সিদ্দিকি। শিল্প সচিবের পক্ষে ছিলেন রুইস উদ্দিন আহম্মেদ এডভোকেট।
বার্তা প্রেরক-
মনজিল মোরসেদ, এডভোকেট।