Appeal against judgment of user fees has been disposed of with some observation
ইউজার ফি সংক্রান্ত সরকারের আপিল কতিপয় পর্যবেক্ষন সহ নিস্পত্তি করে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
-----------------------------------------------------------------------------------------------
দেশের সকল সরকারি হসপাতালে রোগিদের নিকট হইতে ইউজার ফি আদায়ের হার ২০০৯ সালে বৃদ্ধি করলে তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস এন্ড পীস ফর বাংলাদেশ রীট পিটিশন দায়ের করলে শুনানী শেষে হাইকোর্ট ১৯-০২-২০১২ তারিখে হাসপাতালে রোগিদের নিকট হইতে ইউজার ফি আদায় বে-আইনি ঘোষনা করে রায় দেন।
উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষে আপিল দায়ের করে এবং দীর্ঘ শুনানী শেষে আজ সরকারের আপিল মঞ্জুর না করে কতিপয় পর্যবেক্ষন সহ নিস্পত্তি করে রায় দিয়েছেন।
মাননীয় প্রধান বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন এর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি এস, কে, সিনহা, বিচারপতি মোঃ আবদুল ওয়াহহাব মিঞা এবং বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এর আদালতে আজ এ রায় ঘোষনা করেন।
শুনানীতে আপিলকারী বলেন দীর্ঘদিন থেকে ইউজার ফি প্রচলিত আছে এবং আংশিক অর্থ ডাক্তার ও নার্সদের কল্যান তাদের পরিশোধ করা হয়। এ ব্যাপারে কোন গেজেট আদালতে দখিল করতে বললেও দেখাতে পারেন নি।
রীট কারীর পক্ষে আইনজীবী আদালতে বলেন বেচে থাকার অধিকার মৌলিক অধিকার এবং চিকিৎসা থেকে অর্থের কারনে বঞ্জিত হলে সাভাবিকভাবেই মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হয়। সরকারি হাসপাতালে গরিব মানুষ সাধারনত চিকিৎসা করেন এবং তাদের উপর ইউজার ফি নির্ধারন করে তাদের চিকিৎসা লাভের অধিকার ক্ষুন্ন করা হচ্ছে। উপরন্তু আদায়কৃত কোটি কোটি টাকা ডাক্তার ও নার্সদের মধ্যে বন্ঠন করার মাধ্যমে তাদের বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এ ব্যবস্থার কারনে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। তিনি ইউজার ফি সংগ্রহ এবং বন্ঠন বে-আইনি ঘোষনায় হাই কোর্টের রায় বহাল রাখার আবেদন জানান।
আপিল বিভাগ একাধিকবার শুনানী শেষে আজ এ রায় দেন। আপিলকারী সরকার পক্ষে ছিলেন ডিএজি রাজিক আল জলিল। বিবাদি পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
বার্তাপ্রেরক ঃ-
HRPB
তারিখ- ০৬.০৩.২০১৪