বরিশাল শহরে পুকুর/দীঘি ভরাট করে খাদ্য গুদাম নির্মান করার
বরিশাল শহরে মেডিকেল কলেজের দক্ষিণপাশে কীর্তনখোলা নদীর পারে পুকুর ভরাট করে সাইলো (খাদ্য গুদাম) নির্মাণ করার সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে ও পরিবেশ রক্ষায় হাইকোর্ট একটি রীট মামলা দায়ের করেন পরিবেশবাদী সংগঠন ’’হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ” । আজ শুনানী শেষে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরি এবং বিচারপতি মোঃ ইকবাল কবির এর আদালত পুকুর ভরাট এর কাজ এর উপর ৬ মাসের স্থিতিবস্থা বজায় রক্ষায় নির্দেশ দেন। শুনানীতে বাদী পক্ষের কৌশুলি এডভোকেট মনজিল মোরসেদ আদালতে বলেন যে, সংবিধান ও জলাধার সংরক্ষন আইন ২০০০ অনুসারে পুকুর/জলাধার ভরাট করা নিষিদ্ধ। এমনকি উক্ত জায়গায় একটি বদ্ধভূমি রয়েছে। সুতরাং পুকুর ভরাট করলে এবং গুদাম নির্মাণ করলে বদ্ধভূমির অস্থিত্ব বিপন্ন হবে। তিনি বলেন আইন লংঘন করে পুকুর ভরাট করার ক্ষেত্রে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
আদালত শুনানী শেষে উক্ত পুকুর ভরাট বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বে-আইনী ঘোষনা করা হবে না এবং পুকুরটি সংরক্ষনের জন্য ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানাতে ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেন।
মামলায় বাদী হলে HRPB পক্ষে আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী। বিবাদীরা হলেন LGRD, ভূমি ও খাদ্য সচিব, মেয়র, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন, DG পরিবেশ অধিদপ্তর, ডাইরেক্টর (Enforcement), পরিচালক, বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তর, DC ও PS বরিশাল, পুলিশ কমিশনার, বরিশাল, OC বরিশাল সদর থানা।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ সরকার পক্ষে ছিলেন DAG মোতাহের হোসেন সাজু।
রীট মামলায় প্রথম আলো পত্রিকা ২২.১২.১৫, ২৪.১২.১৫ ৩০.১২.১৫ এবং সমকাল ৩০.১২.১৫ তারিখ এর কপি সংযুক্ত করা হয়।
বার্তা প্রেরক-
HRPB ডেস্ক
০৫.০১.২০১৬ ইং