বরিশালে কীর্ত্তনখোলা নদীর জায়গা দখল করে বাধ নির্মানের কাজ ৪৮ ঘন্টার মধ্যে...
বরিশালে কীর্ত্তনখোলা নদীর জায়গা দখল করে বাধ নির্মানের কাজ ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
বরিশাল শহরের পাশে কীর্ত্তনখোলা নদীর জায়গা দখল করে বাধ নির্মান/মাটি ভরাট করার খবর মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে ’’হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ’’ এর পক্ষে আজ রীট পিটিশন দায়ের করা হলে শুনানী শেষে বিচারপতি মোঃ রেজাউল হাসান এবং বিচারপতি এ,কে,এম, সাহিদুল হক রুল জারি করে ৪ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দেন। রুলে নদীর জায়গা দখল ও ভরাট করে বাধ নির্মানকে কেন বেআইনী ঘোষনা করা হবে না তা জানাতে বলেছেন।
আদালতে শুনানীতে বাদী পক্ষের কৌশুলি এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন সংবিধানের আর্টিকেল ১৮ A এর নির্দেশনা, পরিবেশ সংরক্ষন আইন ও জলধার সংরক্ষন আইন ২০০০ অনুসারে নদীর জায়গা দখল ও ভরাট নিষিদ্ধ থাকলেও প্রশাসনের নাকের ডগায় এ কাজ চলছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
আদালত বিবাদীদেরকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নদীর জায়গায় মাটি ভরাট ও বাধ নির্মাণ এর কাজ বন্ধ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বরিশালের নদী, খাল পুকুর রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার ব্যর্থতার বিষয় ২ সপ্তাহের মধ্যে তাদের আদালতে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। অপরদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশন এর কাউন্সিলর কোন কর্তৃত্ব বলে কন্ট্রাক্ট এর কাজ করছেন তার ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন।
বাদী হলেন এডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী । বিবাদীরা হলেন পানি, পরিবেশ, LGRD সচিব, মেয়র বরিশাল সিটি করপোরেশন, DG পরিবেশ,Director (Enforcement) , বরিশাল পরিবেশের পরিচালক, DC, SP বরিশাল, চীফ এক্সিকিউটিব, বরিশাল সিটি করপোরেশন, প্রাক্তন মেয়র ও OC সদর থানা।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
বার্তা প্রেরক-
HRPB ডেস্ক
২৬.০৪.২০১৬ ইং