চট্টগ্রামের চাকতাই খাল ও রাজাখালি খাল এর জায়গায় মাটি ভরাট...
চট্টগ্রামের চাকতাই খাল ও রাজাখালি খাল এর জায়গায় মাটি ভরাট/দখল/নির্মাণ কাজ এর উপর ৬ মাসের স্থিতিবস্থা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
চট্টগামের কর্নফুলি নদী হতে শহরের ভিতরে প্রবাহিত চাকতাই খাল ও রাজাখালি খাল এর প্রকৃত সীমানা চিহ্নিত ও খালের জায়গায় মাটি ভরাট, দখল এবং নির্মাণ কাজ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে ঐজচই এর পক্ষে গতকাল একটি রীট পিটিশন দায়ের করা হলে আজ হাইকোর্ট ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেন। রুলে চাকতাই ও রাজখালি খাল সংরক্ষনে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং খালের জায়গা দখল করায় দখলকৃত স্থপনা ভেঙ্গে অপসারন করার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
আজ শুনানী শেষে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী এবং বিচারপতি মোঃ খসরুজ্জামান এর আদালত শেষে রুল জারি করে চাকতাই ও রাজাখালি খাল এর প্রকৃত সীমানা বিশেষ জরিপ টিমের মাধ্যমে নির্ধারন করে ২ মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন। আদালত অপর এক আদেশে উক্ত খালের জায়গায় মাটি ভরাট/দখল ও নির্মাণ কাজ এর উপর ৬ মাসের স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে শুনানীতে বাদী পক্ষের কৌশুলি এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন সংবিধান, পরিবেশ সংরক্ষন আইন, জলধারা সংরক্ষন আইনে জলধারা ভরাট করা নিষিদ্ধ থাকলেও চট্টগ্রাম শহরে প্রশাসনের শত শত ব্যক্তিদের চোখের সামনে খালের জায়গা দখল করে নির্মান কাজ চলছে, যার কারণে চট্টগ্রামে বসবাসরত লক্ষ লক্ষ মানুষ জলাবদ্ধতার সম্মুখিন হবে। তিনি জরিপের মাধ্যমে খালে জায়গার সীমানা নির্ধারন ও তা রক্ষা করতে নির্দেশনা প্রার্থনা করেন।
বাদী হলেন এডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী, বিবাদীরা হলেন পরিবেশ, অর্থ, LGRD ও পানি সম্পদ সচিব, মেয়র চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, CDA চেয়ারম্যান, DG পরিবেশ, ডিসি, ADC পুলিশ কমিশনার চট্টগ্রাম, AC Land বাকালিয়া ও OC বাকালিয়া। বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। সরকার পক্ষে ছিলেন DAG তাপস কুমার বিশ্বাস।
বার্তা প্রেরক-
HRPB ডেস্ক ০৬.০৬.২০১৬ ইং