ঢাকা স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার (আজিমপুর) সম্পত্তি রক্ষায় কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহনের
১৯০৯ সালে ঢাকার নবাব ‘সলিমুল্লাহ এতিমখানা’ স্থাপন করে এবং পরবর্তীতে সরকারের নিকট হইতে আজিমপুর সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা সম্প্রসারন এর জন্য বিভিন্ন সময় জমি লীজ নিয়ে পরিচালনা করে আসছে। ২২-০৭-২০০৩ ইং সালে উক্ত এতিমখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি বেগম শামসুন্নাহার আহসান উল্লাহ এবং সেক্রেটারী এডভোকেট জি এ খান এতিমখানার ২ বিঘা জমি ডেভলপার কোম্পানী কনকর্ডকে হস্তান্তর করেন। ইত্তেফাক ,প্রথম আলো ,ডেসটিনি, কালেরকন্ঠ,জনকন্ঠ,যুগান্তর,বাংলাদেশ প্রতিদিন সহ বিভিন্ন পত্রিকায় এতিমখানার সম্পত্তি অবৈধ হস্তান্তরের বিষয়টি বিভিন্ন তারিখে প্রকাশিত হয়। উক্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হবার পরে এতিমখানার ৪ জন ছাত্রের পক্ষে একটি রীট পিটিশন দায়ের করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরবর্তিতে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস এন্ড পীস ফর বাংলাদেশ’ (ঐজচই) হিসেবে পক্ষভূক্ত হয়। রীট পিটিশনে বলা হয়,এতিমখানার সম্পত্তি সরকারের নিকট থেকে লীজ নেওয়া এবং লীজ চুক্তিতে এতিমখানার সম্পসারনের জন্য বিনা মুল্যে দেয়া হয় এবং শর্ত ছিল এতিমখানার প্রয়োজন ব্যতিত অন্য প্রয়োজনে জমি ব্যবহার করা যাবেনা। তা সত্ত্বেও সভাপতি ও সেক্রেটারী সম্পূর্ন অবৈধভাবে আর্থিক লাভবান হয়ে এতিমখানার সম্পতি কনকর্ড গ্রুপ এর নিকট হস্তান্তর করেছে। গত ১১-০২-২০১৩ তারিখে হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থিতিবস্থার আদেশ দেন।
শুনানীতে বাদী পক্ষের কৌশুলী এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন , চুক্তির শর্ত ভংগ করে এবং এতিমখানার গঠনতন্ত্র বিধান ভংগ করে এতিমখানার সম্পতি হস্তান্তর করা হয়েছে, যা সম্পুর্ন অবৈধ। সম্পত্তি যেহেতু বর্তমানেও সরকারের নামে রেকর্ড আছে এবং কোন ধরনের হস্তান্তরের অধিকার নেই সুতরং সরকার উক্ত এতিমখানার সম্পতি সংরক্ষন ও রক্ষনাবেক্ষনে বাধ্য। তিনি আরও বলেন যে, যেহেতু জনস্বার্থে মামলা গ্রহনযোগ্য। বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার এবং বিচারপতি এ.কে.এম জহিরুল হক এর আদালত দীর্ঘ শুনানীর শেষে আজ রায় প্রদান করেন। এবং রুল absolute করে ৪ দফা নির্দেশ দেন:-
১) সরকারকে আজিমপুর এতিমখানার সম্পতি সংরক্ষনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
২) এতিমখানার সম্পত্তি হস্তান্তর সম্পর্কে ২২.০৭.২০১৩ তারিখের আমমোক্তার নামা দলিল বাতিল ঘোষনা করা হয়েছে, যেহেতু সে গুলো াড়রফ ধন রহরঃরড়;
৩) এতিমখানার জায়গায় কনকর্ডের তৈরী ১৮ তলা বিল্ডিং এতিমখানার পক্ষে বাজেয়াপÍ ঘোষনা করা হয়।
৪) কনকর্ডকে ৩০ দিনের মধ্য স্থাপনা ও সম্পতি এতিমখানাকে বুঝিয়ে দিতে বলা হয়।ব্যর্থতায় বিবাদী ১-১২ কে সম্পত্তি বুজিয়ে নেয়ার নিদের্শ দেন এবং এতিমখানার প্রয়োজনে ফবাষড়ঢ় করার নির্দেশ দেন।
আদালত বাদী পক্ষে শুনানী করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ, সরকার পক্ষে ছিলেন এ্যাটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম, ডিএজি আল অ্ামিন সরকার ,এ এ জি সৈয়দা রাবেয়া বেগম, এতিম খানার সুপারিনটেনডেন্টের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট অনিক আরা হক এবং বাদী ১-৩ এর পক্ষে ছিলেন এডভোকেট মশিউজ্জামান।
বার্তা প্ররক-
মনজিল মোরসেদ।