বুড়িগংগা নদীর জায়গা দখল করে ওরিয়ন গ্রুপের কাজের উপর স্থিতিবস্থা বজায় ও বিআইডল্বিউটিএ এর চেয়ারম্যান ও পরিবেশ এর ডিজি কে হাইকোর্টে তলব।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
 

ঢাকার ৪ নদীর রায় জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ এর দায়ের কৃত রীট মামলায় ২৫.০৬.২০০৯ তারিখে হাইকোর্টের রায় ও আপিল বিভাগ কতৃক রায় বহাল রাখার পরেও বুড়িগংগা নদীর ফতুল্লা এলাকায় নদীর ভিতরে জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মান করছে ওরিয়ন গ্রুপ মর্মে সংবাদ মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে বাদী পক্ষে একটি আবেদন দাখিল করে স্থিতিবস্থা বজায় রাখা ও ব্যক্তিগত হাজিরার আবেদন জানান হয়।

বিচারপতি মোঃ আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি মোঃ আশরাফুল কামাল এর আদালত শুনানী শেষে বিআইডল্বিউটিএ এর চেয়ারম্যান ডঃ শামসুদ্ধিন খোন্দকার এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক রায়সুল আলম কে আগামি ০৮.০৪.২০১৪ তারিখে স্ব-শরিরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যক্ষা দিতে বলা হয়েছে।

শুনানী শেষে বাদী পক্ষে কৌশুলি এ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন যে, ২০০৯ সালে ৪ নদীর রায় হবার পরে দীর্ঘদিন বুড়িগংগার জায়গা অবৈধ দখল ও মাটি ভরাট করা বন্ধ থাকলেও ইদানিং কলে বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ দখল চলছে । কিন্তু রায়ে বিবাদীদের প্রতি নদী রার নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিআই ডল্বিউটিএ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ব্যার্থতার কারনে নদী দখলের কার্যক্রম আবারও চলছে এবং যার কারনে রায় এর নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ঠি হয়েছে যা আদালত অবমাননার শামিল।

শুনানী শেষে আদালত ওরিয়ন গ্রুপকে বুড়িগংগা নদীর ভিতরে নির্মান কাজের উপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন এবং বিআইডল্বিউটিএ এর চেয়ারম্যান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ডাইরেকটর জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন শুনানী না হওয়া পর্যন্ত বুড়িগংগা নদীতে অবৈধ দখল /মাটি ভড়াট ও নির্মান কাজ যাতে চলতে না পারে তা নিশ্চিত করার ।

আদালত পরবর্তি তারিক ০৮.০৪.২০১৪ নির্ধারন করেছেন।

বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

বার্তাপ্রেরক ঃ-
HRPB
তারিখ- ০৫.০৩.২০১৪