জএমপি নীতিমালা অনুসরন না করায় ২৮ টি ওষুধ কোম্পানীর এন্টিবায়োটিক...
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
জএমপি নীতিমালা অনুসরন না করায় ২৮ টি ওষুধ কোম্পানীর এন্টিবায়োটিক(পেনিসিলিন,সেপালোপ্সিরিন)/ ষ্টরয়েড/ হরমোন/ ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধ উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ চুড়ান্তশুনানীতেও বহাল রেখেছে হাইকোটে
জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকারের অনুমতিক্রমে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদনে ২৮ টি ওষুধ কোম্পানীর বিরুদ্ধে এগচ নীতিমালা অনুসরন না করার অভিযোগে তাদের উৎপাদিত এন্টিবায়োটিক(পেনিসিলিন, সেপালোপ্সিরিন)/ ষ্টরয়েড/ হরমোন/ ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধ উৎপাদন বন্ধের ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করলেও কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ না নেয়ায় জনস্বার্থে ঐজচই একটি রীট পিটিশন দায়ের করলে ২৭.০২.২০১৭ তারিখে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করে অন্তবর্তিকালিন আদেশে উক্ত কোম্পানীর এন্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন, সেপালোপ্সিরিন)/ ষ্টরয়েড/ হরমোন/ ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধ উৎপাদন বন্ধের আদেশ দেন এবং কর্তৃপক্ষ যথাযথ সময় আদেশ কার্যকরি করে। আদেশের পরে বেনহাম ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিঃ, ডঃ টিমস্ ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিঃ, গ্লোবেক্স ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিঃ, গ্রীনল্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিঃ, মেডিমেট ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ, টেকনো ড্রাগস্ লিঃ, এমিকো ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিঃ, অরগ্যানিক হেলথকেয়ার লিঃ ও অয়েষ্টার ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ রীট মামলায় পক্ষভুক্ত হয় এবং আদেশ সংশোধন করে তাদের নাম বাদ দেবার আবেদন জানালে শুনানী শেষে তা নথিজাত করে রুল শুনানীর জন্য ১৯.০৩.২০১৭ তারিখ নির্ধারন করেন।
বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন এবং বিচারপতি মোঃ আতাউর রহমান এর আদালত শুনানী শেষে আজ রুল এ্যবসলিউট করে জিএমপি নীতিমালা অনুসরন না করায় ২৮ টি ওষুধ কোম্পানীর এন্টিবায়োটিক(পেনিসিলিন, সেপালোপ্সিরিন)/ ষ্টরয়েড/ হরমোন/ ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধ উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ বহাল রেখেছেন এবং রুল এ্যবসলিউট করেছেন। আদালত রায়ে নির্দেশনা দেন যে, ড্রাগ প্রশাসন ১৫ দিনের মধ্যে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করবেন যার সদস্যরা হবেন বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার একজন প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ কমিটির একজন প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের একজন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের একজন এবং ড্রাগ প্রশাসনের একজন প্রতিনিধি। পক্ষভুক্ত ৯ টি ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাষ্ট্রিজ কর্তৃপক্ষের নিকট এগচ নীতিমালার স্বক্ষমতা অর্জনের বিষয় আবেদন করলে উক্ত কমিটি আবেদন যাচাই করে এগচ নীতিমালা সঠিকভাবে অনুসরন করার স্বক্ষমতার বিষয় মতামত দিলে কর্তৃপক্ষ তাদের সংশ্লিষ্ট উৎপাদন এর বিষয় বিবেচনা করবেন। আদালত রায়টিতে Continue Mandamus এর আদেশ দিয়েছেন।
HRPB দায়েরকৃত জনস্বার্থের মামলার কৌসুলি এডভোকেট মনজিল মোরসেদ ২৮ টি কোম্পানীর ওষুধ উৎপাদন বিষয় বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বলেন যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক জিএমপি (GMP) নীতিমালা যা আমাদের দেশে প্রচলিত আইনে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে তা না মেনে কোম্পানীগুলো উৎপাদন চালাচ্ছে যার ফলে জনস্বাস্থের প্রতি মারাত্বক হুমকি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও বলেন ওষুধের মান ঠিক রাখতে উৎপাদন পদ্ধতি, লোকবল, ফ্যাক্টরির অবস্থান, পদ্ধতি, প্যাকেট, বোয়িং সহ অনেক বিষয় নির্দেশনা রয়েছে এগচ (Certificate of Good Manufactory Practice) নীতিমালায় তা লংঘন করলে মান সম্মত ওষুধ উৎপাদন সম্ভব নয়। যে কারণে ঐ সকল ওষুধ বাজার থেকে ক্রয় করে রোগীরা ব্যবহার করলে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। তিনি শুনানীতে কতিপয় ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাষ্ট্রিজ এর Toll Agreement এর মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক উৎপাদন এর বিষয় আদালতে বলেন রীট পিটিশনটি দায়ের করা হয়েছে (GMP) নীতিমালা অনুসরনে পদক্ষেপ নিতে এবং টোল এগ্রিমেন্ট এর উৎপাদন বন্ধে কোন আদেশ আদালত থেকে দেয়া হয়নি। মামলার পিটিশনার হলেন এডেভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী, মোঃ ছারওয়ার আহাদ চৌধুরি এবং মোঃ মাহবুবুল ইসলাম। বিবাদীরা হলেন স্বাস্থ্য সচিব, শিল্প সচিব, সংরক্ষণ এর DG ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন এর DG, ওষুধ উৎপাদন মালিক সমিতির সভাপতি, IGP ও DG RAB|
উএ জঅই। বাদী পক্ষে শুনানী করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ এবং তার সাথে ছিলেন এড. রিপন বাড়ৈ, এড. সঞ্চয় মন্ডল। ৯টি ফার্মাসিউটিক্যালস্ কোম্পানীর পক্ষে ছিলেন এডভোকেট ইউসূফ হোসেন হুমায়ুন, এড. ফিদা এম কামাল, এড. কামরুল হক সিদ্দিকী, এড. জে কে পাল, এড. এ এম আমিনউদ্দিন, এড. রমজান আলী সিকদার, এড. রাগিব রউফ চৌধুরি, এড. মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।
বার্তা প্রেরক
মনজিল মোরসেদ
এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোট