খুলনার ময়ুর নদী ও চাপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদী দখল করে স্থাপনা তৈরীর উপর স্থিতিবস্থার আদেশ দিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট

খুলনার ময়ুর নদী দখল করে খুলনার সিটি কর্পোরেশন গল্লামারিতে লিনিয়া পার্ক স্থাপন এর সংবাদ প্রথম আলোতে ১২.০৭.২০১৬ তারিখ ও চাপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীতে স্থানীয় প্রভাবশালিরা হাউজিং প্রজেক্ট এর সংবাদ যুগান্তরে ১২.০৭.২০১৫ তারিখে প্রকাশিত হলে জনস্বাথে HRPB ২টি রীট পিটিশন দায়ের করলে আজ শুনানী শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুুরি এবং বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস এর আদালত ৪ সপ্তাহের রুল জারি নদী ভরাট বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বে-আইনী ঘোষনা করা হবে না এবং দখলকৃত মাটি ভরাট/দখল/নির্মাণ কাজ অপসারনের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না মর্মে রুল জারি করেন। আদালত উভয় নদীর দখল/মাটি ভরাট/নির্মাণ কাজের উপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন।

শুনানী শেষে বাদী পক্ষের কৌশুলি এডভোকেট মনজিল মোরসেদ আদালতে বলেন নদী দখলের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট বিধান এবং সংবিধানের ১৮ক অনুচ্ছেদে নির্দেশনা থাকলেও প্রশাসন নিষ্ক্রিয় থাকায় অবৈধভাবে মাটি ভরাট/নির্মাণ ও দখল অব্যাহত আছে। আদালতে হস্তক্ষেপ ছাড়া এ ধরনের পরিবেশ বিধ্বংসি কাজ বন্ধ করা সম্ভব নয়।

আদালত সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে একটি কমিটি এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকায় জরিপ সম্পাদন করে আদালতে দখল/মাটি ভরাট/নির্মাণ কাজ এর বিবরন প্রতিবেদন আকারে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত সংশ্লিষ্ট এলাকায় UNO I OC দেরকে স্থিতিবস্থার আদেশ কার্যকরি করে Compliance Report দিতে বলেছেন।

বাদীরা হলেন HRPB পক্ষে এডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী ও এডভোকেট একলাস উদ্দিন ভুইয়া। বিবাদীরা হলেন LGRD সচিব, পরিবেশ সচিব ও DG, জেলা প্রশাসক, খুলনা সিটি কর্পোরেশন মেয়র, জেলা প্রশাসক

বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। সরকার পক্ষে ছিলেন DAG মোতাহের হোসেন সাজু।

বার্তা প্রেরক

মনজিল মোরসেদ
এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
তারিখঃ ১৯/০৭/২০১৬ ইং