লালবাগ কেল্লার প্রকৃত সীমানা নির্ধারনে প্রতড়বতত্ত¦ অধিদপ্তরকে আপিল বিভাগের নির্দেশ এবং ২৫ মে এর মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

লালবাগ কেল্লার সীমানার ভিতরে অবস্থিত একটি বাড়ির মালিকানা সংμান্ত দাবীর বিষয় জনস্বার্থে কেল্লার অবস্থান ঠিক রাখতে এডভোকেট মনজিল মোরসেদ এর দায়েরকৃত এক রিভিউ পিটিশন এর শুনানী শেষে আপিল বিভাগের পুর্নাঙ্গ বেঞ্চ আজ প্রতড়বতত্ত্ব অধিদপ্তরকে এ বিষয় তদন্ত জরিপ করে ২৫ মে এর মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মাননীয় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্হা এর নেতৃত্বে পুর্নাঙ্গ বেঞ্চ আজ এক আদেশে তদন্তজরিপ কালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মনোনীত প্রতড়বতত্ত্ব বিভাগের একজন শিক্ষক এবং ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এর সহায়তা নিতে নির্দেশ করেছেন এবং প্রতিবেদন আগামী ২৫.০৫.২০১৭ তারিখের মধ্যে দাখিল করতে বলেছেন। এডভোকেট মনজিল মোরসেদ শুনানীতে জেল প্রশাসনের নির্দেশে গঠিত ৫ সদস্য কর্তৃক দাখিলকৃত প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বলেন যে জনৈক হাজী আবুল হাশেম কর্তৃক দাবীকৃত জায়গাটি লালবাগ কেল্লার প্রকৃত সীমানার মধ্যে অবস্থিত এবং আপিল বিভাগের রায় রিভিউ করে অবৈধ স্থাপনা অপসারনে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে আবেদন জানান। তিনি বলেন হাইকোর্ট এর রায় অনুসারে ইতিপূর্বে আরও অবৈধ দখলকৃত ২টি বাড়ি ভেঙ্গে উচ্ছেদ করা হলেও হাজী হাশেম এর বাড়িটি এখনও লালবাগ কেল্লার সীমানায় অবস্থিত। যার কারণে UNESCO এর তালিকায় এখনও এ স্থাপনাটি চূড়ান্ত হয়নি।

বিবাদী পক্ষে এডভোকেট এ,এফ, হাসান আরিফ বলেন আদালতের নির্দেশে DGLR কর্তৃক একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে দাবী করেন CS রেকর্ড থেকে তাদের মালিকানা রয়েছে।

উভয় পক্ষের শুনানী শেষে আপিল বিভাগ প্রকৃত সীমানা চিহ্নিত করতে প্রতড়বতত্ত্ব অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেন এবং পরবর্তি আদেশের জন্য ২৫.০৫.২০১৭ তারিখ নির্ধারণ করেন।

মূল রীটটি হাইকোর্ট বিভাগে ১০.১০.২০১০ ইং তারিখে রায় দিয়ে লালবাগ কেল্লার ভিতরে অবস্থিত স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিলে, উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মালিক দাবিদার। পরে আপিল নিষ্পত্তি করে ০৮.০৬.২০১৪ ইং তারিখের রায় দেয়ার পর উপরিল্লিখিত জরিপ সমাপ্তের পর রিভিউ পিটিশন দায়ের করা হয়।

রিভিউ পিটিশনার পক্ষে শুনানী করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। বিবাদীর পক্ষে ছিলেন এড. এ,এফ, হাসান আরিফ ও এড. এ,এম, আমিন উদ্দিন।

বার্তা প্রেরক

HRPB ডেস্ক

এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট

তারিখঃ ০৬.০৪.২০১৭