নাটোরের তুলশিগংগা ও পটুয়াখালি টিয়াখালি নদীর দখল বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ।
নাটোরের তুলশিগংগা ও পটুয়াখালি টিয়াখালি নদীর দখল বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ।
নাটোরের গুরুদাসপুরে তুলশিগংগা নদীর ভিতরে আড়াআড়ি বাধ নির্মাণ ও পটুয়াখালির কলপাড়া এলাকার টিয়াখালি নদীর জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণ করার সংবাদ মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে HRPB ২টি রীট পিটিশন দায়ের করলে আজ শুনানী শেষে আদালত ৪ সপ্তাহের রুল জারি করে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বে-আইনি ঘোষনা করা হবে না এবং দখলকৃত স্থাপনা অপসারনের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না মর্মে রুল জারি করেন।
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরি এবং বিচারপতি মোঃ খসরুজ্জামান এর আদালত আজ রুল জারি করে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার নাটোরকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাধ নির্মাণের বিষয় আদালতে ৪ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন এবং স্থিতিবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কলপাড়ার টিয়াখালি নদীর ভিতরে দখল ৭২ ঘন্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ এবং ৪ সপ্তাহের মধ্যে Compliance Report দতে বলেছেন এবং জেলা প্রশাসককে C.S ও R.S পর্চায় নদীর অবস্থান মার্কিং করে আদালতে ৪ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। পর্চায় নদীর অবস্থান মার্কিং করে আদালতে ৪ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
শুনানীতে বাদী পক্ষের কৌশুলি এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন জলধার সংরক্ষন আইন, পরিবেশ আইন ও সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮ক এর বিধান অনুযায়ী নদী দখল/ভরাট নিষিদ্ধ থাকলেও প্রশাসনের সামনেই অবৈধ কাজ চলছে যা সম্পূর্ণ বে-আইনি।
HRPB এর পক্ষে বাদীরা হলেন এডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী, এডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভুইয়া। বিবাদীরা হলেন LGRD, ভূমি, পরিবেশ সচিব, DC,SP নাটোর ও পটুয়াখালি, DG পরিবেশ,UNO ও OC কলপাড়া ও গুরুদাসপুর।
বাদী পক্ষে রীট পিটিশন ২টি শুনানী করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। সরকার পক্ষে ছিলেন DAG তাপস রায়।
বার্তা প্রেরক
মনজিল মোরসেদ
এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
তারিখঃ ২০/০৭/২০১৬ ইং