যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষক কর্তৃক S.S.C ও H.S.C পরীক্ষার খাতা দেখা এবং উপযুক্ত সময় দেয়ার নির্দেশনা ...
যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষক কর্তৃক S.S.C ও H.S.C পরীক্ষার খাতা দেখা এবং উপযুক্ত সময় দেয়ার নির্দেশনা কেন দেয়া হবেনা মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ।
S.S.C ও H.S.C পরীক্ষার খাতা দেখা ও ফলাফল একটি যুক্ত হবার সংবাদ ২৩.১১.২০১৬ তারিখে কালের কন্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে জনস্বাথে HRPB কর্তৃক একটি রীট পিটিশন ০১.০১.২০১৭ তারিখে দায়ের করলে আজ শুনানী শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি জে বি এম হাসান এর আদালত ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেন। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে, পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশের পরে পুনঃপরীক্ষার শত শত শিক্ষার্থীর খাতা নম্বর বেশি পাচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী ফেল করার পর তাদের খাতা পুনঃপরীক্ষায় তাদের নম্বর বাড়ছে ও পাশ করছে কিন্তু ততক্ষনে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয় যে, পরীক্ষার খাতা দেখার জন্য প্রয়োজনীয় সময় না দেয়ায় রেজাল্টের ক্ষেত্রে এ রকম ঘটনা ঘটছে।
শুনানীতে রীটকারির পক্ষের কৌসুলি এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের খাতা বরাদ্ধের নীতিমালা থাকা সত্ত্বেও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে এবং অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীদের ফলাফল বিপর্যয় হচ্ছে, এমনকি পরিবারে চরম হতাশা নেমে আসে। তিনি বলেন এমনকি মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে খাতা দেখে জমা দেবার নির্দেশ দেয়া হয় যা প্রকৃতপক্ষে অসম্ভব ব্যাপার কারণ শত শত S.S.C ও H.S.C পরীক্ষার খাতা এভাবে দেখলে প্রকৃত নম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হবে।
আদালত যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষক কর্তৃক S.S.C ও H.S.C পরীক্ষার খাতা দেখতে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তাকে কেন বে-আইনি ঘোষণা করা হবেনা এবং খাতা দেখার জন্য সঠিক ও প্রয়োজনীয় সময় বরাদ্ধ দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হবেনা মর্মে ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেন।
রীট পিটিশনার হলেন এডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী ও এখলাছ উদ্দিন ভুইয়া। বিবাদীরা হলেন শিক্ষা সচিব, চেয়ারম্যান শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, সিলেট, দিনাজপুর, কুমিল্লা, চেয়ারম্যান মাদ্রাসা বোর্ড, চেয়ারম্যান, টেকনিকাল এডুকেশন বোর্ড।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। সরকার পক্ষে ছিলেন উঅএ মোতাহের হোসেন সাজু।
বার্তা প্রেরক
HRPB ডেস্ক
এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট