HC directed the Biman Authority to submit a report about the death of a woman inside Biman
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের
দায়িত্ব অবহেলায় যাত্রী মৃত্যুতে তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ হাইকোর্টের।
নিয়ম অনুযায়ী যখন কোন যাত্রী বিমানে অসুস্থ হয়ে পরে তখন বিমান থেকে নিকটতম বিমানবন্দরে একটি এসওএস প্রেরণ করা হয়। কিন্তু শুয়াইবুর রহমান চৌধুরীর অসুস্থ হওয়া থেকে শুরু করে মৃত্যু পূর্ব পর্যন্ত কোনো এসওএস নিকটতম বিমানবন্দরে প্রেরণ করা হয়নি। যদিও পাইলট ৩০ মিনিট সময় পেয়েছিলেন। যা আন্তর্জাতিক বিমান পরিচালনা নীতিমালাসহ আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) আইন ২০২০, বেসামরিক বিমান চলাচল আইন ২০১৭, বিমান দুর্ঘটনা ও মারাত্মক ঘটনার তদন্ত বিধিমালা ২০২৩ এবং সংবিধানের ৩১ এবং ৩২ অনুচ্ছেদ পরিপন্থী।
শুনানিতে
HRPB-এর পক্ষে সিনিয়র এ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন যাত্রী অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়েও
পাইলট যাত্রীর জীবন রক্ষার জন্য কোন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। যা আইন বহির্ভূত একটি
কাজ। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, এই দায়িত্ব অবহেলার কারণে মৃতের পরিবার আইনত ক্ষতিপূরণ
পাবার অধিকারী। কিন্তু, বিমান বাংলাদেশ যাত্রী মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে কোনো রকম তদন্ত
করে নাই এবং ক্ষতিপূরণ প্রদান প্রদান করেন নাই।
অদ্য ১৯.০৩.২০২৪ খৃ. শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মোঃ আতাবুল্লাহর হাইকোর্টে বেঞ্চ বিবাদীদেরকে আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) আইন ২০২০ ও বিমান দুর্ঘটনা ও মারাত্মক ঘটনার তদন্ত বিধিমালা ২০২৩ অনুযায়ী দুর্ঘটনার যাত্রীর ক্ষেত্রে আইনের বিধানগুলো পালন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না; আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) আইন ২০২০ অনুযায়ী শুয়াইবুর রহমান চৌধুরীর পরিবারকে কেন ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং যাত্রী অসুস্থ থাকা অবস্থায় নিকটবর্তী বিমানবন্দরে অবতরণ না করার কারণে পাইলটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না বিষয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেন ।
আদালত অপর এক অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে, সচিব, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে, সাত দিনের মধ্যে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি (দুইজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর) সহকারে কমিটি গঠন করে যাত্রীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কিত প্রতিবেদন আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন ।
রিট পিটিশনার হলেন হিউম্যান রাইট অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (HRPB)-এর পক্ষে মো. সারওয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাস উদ্দিন ভূঁইয়া ও রিপন বাড়ৈ। মামলার বিবাদীরা হলেন সচিব বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সচিব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, চেয়ারম্যান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ, চেয়ারম্যান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং পাইলট ফজল মাহমুদ।
বাদি
পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ তাকে সহায়তা করেন এডভোকেট সঞ্জয়
মন্ডল। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট সেলিম আজাদ (এএজি)।