HC issued contempt rule upon the Chairman of the Chattogram Port Authority
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আদালতের আদেশ অমান্য
করে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর জায়গা লিজ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় চট্টগ্রাম
বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং অপর দুই জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি
করেছেন হাইকোর্ট।
কর্ণফুলী
নদী রক্ষার্থে পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ
(HRPB) জনস্বার্থে ২০১০ সালে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। শুনানি শেষ উক্ত রিটে ২০১৬
সালে আদালত কর্ণফুলী নদীর সীমানা জরিপ করে নদী সংরক্ষণ করার নির্দেশ প্রদান করে রায়
প্রদান করেন।
আদালতের উক্ত রায় ও নির্দেশনা অমান্য করে, বিগত ০৭.১১.২০২৪ তারিখে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে ডেপুটি ম্যানেজার/স্টেট দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় একটি দরপত্র আহ্বান করেন। উক্তে দরপত্র বলা হয় ফিরিঙ্গি বাজার মৌজার আর এস ৬০১ দাগ ১০ বছরের জন্য লিজ প্রদান করা হবে ।
পত্রিকায় প্রকাশিত উক্ত বিজ্ঞপ্তি (HRPB)-এর নজরে আসলে ২৫.১১.২০২৪, HRPB-এর পক্ষে সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সহ তিনজনকে আদালত অবমাননার নোটিশ প্রেরণ করেন। নোটিসের কোন পদক্ষেপ না থাকায়, HRPB বিগত ০২.১২.২০২৪ তারিখে একটি আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন। অদ্য ০৩.১২.২০২৪ তারিখ মামলাটি বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর আদালতে আবেদনটির উপরে শুনানি হয়। শুনানি শেষ আদালত রায় অমান্য করে কর্ণফুল নদীর জায়গা লিজ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করায় রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব, প্রশাসন ও পরিকল্পনা, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও মোঃ শিহাব উদ্দিন ডেপুটি ম্যানেজার/স্টেট, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, এর উপর আদালত অবমাননের রুল জারি করা হয়। একইসাথে আদালত দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় প্রকাশিত ০৭ ১১.২০২৪ বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন।
শুনানিতে HRPB-এর কৌশলী সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন হাইকোর্ট কর্তৃক কর্ণফুলী নদীর জায়গা উদ্ধার করার নির্দেশনা এবং অপর একটি জনস্বার্থের মামালায় আপিল বিভাগ কর্তৃক নদীর জায়গার লিজ না দেওয়ার আদেশ থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের নির্দেশে, কর্ণফুলী নদীর জায়গা লিজ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যাহা আদালত অবমাননার সামিল। এভাবে নদী ভরাট করতে থাকলে কর্ণফুলী নদীর অস্তিত্ব থাকবে না ।
HRPB-এর পক্ষে আবেদনকারী হলেন এডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট এখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া। উক্ত রিট পিটিশানে বিবাদীরা হলেন চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সহ দুই জন।
HRPB-এর পক্ষে শুনানি করেন কৌশলী সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ, তাকে সহায়তা করেন এডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল ও অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডিএজি মোঃ তামিম।
সিনিয়র এ্যাডভোকেট
তারিখ ০৩.১২.২০২৪ইং